23/3/19,ওয়েবডেস্ক: ভোট ঘোষণার সাথে সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকদের তৈরি করা পেজগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ওপিনিয়ন পোল নেয়া। তৃণমূল সমর্থকদের তৈরি করা পেজগুলোতে অদ্ভুত একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল সমর্থকদের তৈরি করা পেজগুলোতে দেখা যাচ্ছে ভোটে পিছিয়ে পড়ছে তৃণমূল প্রার্থীরাই। যেমন গত 16 ই মার্চ সন্ধ্যা 7:15মিনিটে করা ওয়েস্টবেঙ্গল তৃণমূল সাপোর্টার্স নামে পেজটির ভোটে দেখা যাচ্ছে পিছিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনি বাঙালি? দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চায় বাংলা? ভোট দিন অকপটে।শেয়ার করে অন্যকেও ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিন”। 56.7 হাজার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মানুষ এই পেজে নেয়া ভোটে অংশ নেন। ফলাফলে দেখা যায় পিছিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই পেজেই গত 19শে মার্চ রাত 8.2মিনিটে ভোট করা হয়েছিল যাদবপুর কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়েও।বিকাশ রঞ্জন ভট্টচার্য ও মিমি চক্রবর্তীর ছবি দিয়ে প্রশ্ন করা হয়-যাদবপুর কেন্দ্রে কে জয়লাভ করবে?এখানে ভোট দেন 21.4 হাজার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী।সেখানে 79% ভোট পেয়ে তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়ে গেছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী।এই পেজেই কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের জন্য নেয়া ভোটে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এর থেকে 69 শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে গেছেন বাম প্রার্থী কনীনিকা বোস ঘোষ। এখানে ভোট দিয়েছেন 9.3 হাজার সোসাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। পেজগুলোতে যে ভোটগুলো হয়েছে সেখানে বারবারই তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে পড়েছে। যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিদ্রুপ করা। কারণ এই ধরনের পেজ গুলো বেশির ভাগই বিভিন্ন দলীয় সমর্থকদের তৈরি করা এবং এই ভোট গুলোতেও ভোট দেন দলীয় সমর্থকরাই এবং তাদের মধ্যে দলীয় সমর্থকদের ভোটে নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করার একটা প্রবণতা থেকে যায়। এই সময়ের তৃণমূল সাপোর্টারদের তৈরি করা এই পেজগুলোতে যা ফলাফল দেখা যাচ্ছে তা বিস্মিত করছে সকলকেই।
Recent Comments
অভিমান
on