২/৩/১৯,ওয়েবডেস্কঃ জঙ্গিহানা এবং আটক বায়ুসেনা পাইলটের মুক্তি নিয়ে উত্তাল সারা দেশ। এই অবস্থায় একদিকে যেমন মুহুর্মুহু ছড়াচ্ছে নানারকমের গুজবের ঘনঘটা অন্যদিকে সেই আবহে দাঁড়িয়েই এবার শোনা গেলো ভারতীয় বিমান ছিনতাইয়ের হুমকির কথা। মনে করা হচ্ছে, তাহলে ভারতের ওপরে পালটা চাপ সৃষ্টি করা যাবে। তাদের কয়েকটি দাবিও মানতে বাধ্য করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার এখবর জানা গেছে গোয়েন্দা সূত্রে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে,তাঁরা সতর্ক করেছেন, শনিবারের মধ্যেই বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা হতে পারে।
এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরে দিল্লি এয়ারপোর্টের ট্যারম্যাকে মোতায়েন করা হয়েছে কম্যান্ডো। বিমানবন্দরের আশপাশে ওয়াচ টাওয়ারে রাইফেল নিয়ে রেডি আছে শার্প শুটাররা। এছাড়া রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। সবাই লক্ষ রাখছে, সন্দেহজনক কেউ বিমান উঠছে কিনা। টার্মিনাল থেকে এয়ারসাইডে ঢোকার গেটেও কড়া নজর রয়েছে। সিআইএসএফ অফিসাররা জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আমরা বিমানবন্দরে নজর রেখেছি। পুরো শহরেই নজর রাখা হচ্ছে।
সিআইএসএফের এক অফিসার বলেন, উত্তর-পূর্বের একটি রাজ্য থেকে গোয়েন্দারা ওই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন। দেশের বেশ কয়েকটি অসামরিক বিমান বন্দরকে হাইপার সেনসিটিভ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার রানওয়ে ও অন্যত্র কড়া পাহারা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কুইক রি অ্যাকশান টিমও তৈরি। তারা বিমান বন্দরের আশপাশে টহল দিচ্ছে। কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখলেই আটকানো হবে। বিমানবন্দরে যে গাড়িগুলি ঢুকছে, তাদের ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষত ক্যাটারিং ট্রাকগুলিকে তল্লাশি করা হচ্ছে। একটি সূত্রের খবর, বিমানে কোনও মালপত্র তোলার আগে স্নিফার ডগ দিয়ে পরীক্ষা করানো হচ্ছে। বিমানবন্দরে যাঁরা গ্রাউন্ড ডিউটি করেন, তাঁদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
কার্গো টারমিনালেও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সিআইএসএফ। কারণ সেখান দিয়েও এয়ারসাইডে ঢোকা যায়। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দু’বার হাইজ্যাক অ্যালার্ট দিয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পরেই দেশের সব বিমান বন্দরকে সতর্ক করা হয়। সিআইএসএফকে বলা হয়, বিমানবন্দরের প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে নজর রাখতে হবে।
দেশের বিমানবন্দরে জারি রেড এলার্ট ,জঙ্গি হানার আশঙ্কায় কাঁপছে দেশ
Recent Comments
অভিমান
on