২৯/১১/২০১৮, ওয়েবডেস্ক:কোটার হোস্টেলগুলির দেওয়ালে কান পাতলে শোনা যায় অব্যক্ত যন্ত্রণার ফিসফিসানি।ওই দেওয়াল গুলো কত ঘটনারই না নীরব সাক্ষী।গত ছয় বছরে প্রায় ৬০জন ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে এখানে,অর্থাৎ মাসে প্রায় একটি করে ছাত্রের মৃত্যু।আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই আত্মহননের ঘটনা ঘটে হোস্টেল এর সিলিং ফ্যান থেকে ফাঁস লাগিয়ে।এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলোকে অন্তত বাইরে থেকে রুখে দিতে এগিয়ে এলেন ক্রমপটন গ্রিভস কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার শরদ আসনি।
মুলন্ড এর বাসিন্দা ৬১ বছরের এই ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এমন এক রড ডিজাইন করেছেন যার দ্বারা রোখা সম্ভব আত্মহত্যা।নতুন,পুরোনো সব ধরণের ফ্যানের সাথে যুক্ত করা সম্ভব এই রড টি ।যদি কেউ সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পরতে চায়, তখনই রড টির পূর্ব নির্ধারিত ওজনের চাইতে বর্তমান ওজন বেশি হওয়ায় রড টির স্বয়ংক্রিয় শৃঙ্খলাহীন যন্ত্র টি কাজ করতে শুরু করবে এবং রড টি ফ্যানের থেকে বিযুক্ত হয়ে আত্মহত্যা রত ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলবে নিরাপদে।এই রড টির দাম ২৫০ টাকা।কোটার হোস্টেল গুলিতে এই ধরণের ৫০০০ রড এর বরাত দেয়া হয়েছে।২০০৪ সালে মডেল নাফিসা জোসেফের আত্মহত্যার ঘটনায় প্রভাবিত হয়ে শরদ এই ধরণের প্রায় ৫০০টি সুইসাইড নিরোধক ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছেন
বিভিন্ন হোস্টেল এর মিলিত সংগঠন শরদ এর আবিষ্কার দিয়ে হোস্টেল গুলিকে মুড়ে ফেলতে চাইছেন।একটা প্রশ্ন কিন্তু এখানে থেকেই যায় ,বাইরে থেকে সুইসাইড বন্ধের চেষ্টার সাথে সাথে ছাত্ররা কেন সুইসাইড মুখী হচ্ছে তা নিয়েও পর্যালোচনা ও কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা আছে।শিক্ষা যদি বাহন না হয়ে,বহন করতে হয় তবে তা প্রাণঘাতী হয় বৈকি।সময় ও অভিভাবকদের চাহিদার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে ছাত্র মনে যেন হতাশার জন্ম না নেয়, সে দিকটাও নজরে থাকা দরকার।