স্নিগ্ধা সরকার
সেল, সেল, সেল!!!
টেন পারসেন্ট ছাড় পাবেন যেকোন পোষাকে। চলে আসুন এদিকে। দাদাভাই, বৌদিভাই, মাসিমা, দিদিভাই এই দিকে আসুন।
দশ হাজার টাকার কেনা কাটায় আকর্ষণীয় ছাড় সাথে চোখ ধাঁধানো গিফট। গাড়ি, টিভি, মোবাইল…
এই রিঙ্কু চলো এই দোকানটাতেই যাই।
না ধীমান। এই দোকানটাতেই গতবছর এসেছিলাম। তেমন পছন্দসই কিছু পাইনি। ঐ দোকানটায় চলো।
বৌদিভাই গতবারের মাল একটাও নেই। এবারে নতুন মালে ঠাসা দোকান। দাদাভাই চলে আসুন দোকানের সেরা মালগুলো আপনাদের দেব। সাথে আকর্ষণীয় গিফট।
ধীমান একমুহুর্ত দেরী না করে দোকানে ঢুকে পড়ল। অগত্যা রিঙ্কু ধীমানের পিছু নিল।
সাতাশিখানা শাড়ি দেখার পর মায়ের জন্য একখানা শাড়ি পছন্দ হলো রিঙ্কুর। নিজের জন্য এখনো কিছু পছন্দ হয়নি। ঐ দিকে ধীমানের ঊনত্রিশ নম্বর শার্টটা খুব পছন্দ হয়েছে। এবারে সে স্যান্ডোগেঞ্জী দিতে বলল। স্যান্ডোগেঞ্জী চলে এলো।
সেকি ফ্রি নেই কেন? আমি নক্ষত্র আড্ডা চ্যানেলে গতরাতেই নুন পোড়া তরকারি সিরিয়াল দেখার সময় দেখেছি গেঞ্জির সাথে কৌটো ফ্রি।
দাদাভাই ওটা তামা কোম্পানি দিচ্ছে। আমরা ওটা বিক্রি করিনা। এটা তার চেয়ে অনেক ভালো জমিদার কোম্পানি । এটা পড়লে আনন্দ ফ্রি।
ছয় ঘন্টা আটান্ন মিনিট আটচল্লিশ সেকেন্ড পর ওদের মার্কেটিং কমপ্লিট হলো। বিল পেমেন্ট করার পর এলো আকর্ষণীয় গিফটের পালা। চিরকুট খুলে দেখা গেল তারা পেয়েছে একটি চামচ।
রিঙ্কু এবারে ধীমানের দিকে কটমট করে তাকিয়ে। ধীমান কিছু না দেখার ভান করে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে ডাক দিলো, ‘টোটো’।