
ওয়েবডেস্কঃ শনিবার হাওড়া আরপিএফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট ডিভিশনের প্রতিটি পোস্ট ইন্সপেক্টরকে একটি লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছেন। যেখানে সাফ বলা হয়েছে, চলন্ত ট্রেনে হকার উঠলেই সংশ্লিষ্ট পোস্টের ইন্সপেক্টরকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধরে নেওয়া হবে, এতে তাঁরই মদত রয়েছে।
যদিও , বিভাগীয় কর্মীদের আশঙ্কা, এই ধরনের অতি সক্রিয়তায় রেল চত্বরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।
আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিল মারার গোঁসাই আরপিএফের এই নীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবে। এর জন্য হকার নেতাদের সঙ্গে বসে নীতি নির্ধারণ করে আন্দোলনকে গণ-আন্দোলনের রূপ দেওয়া হবে। হাজার হাজার হকার লকডাউনের কোপে পড়ে এমনিতেই অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তার উপর এই ‘ফতোয়া’ কখনওই মেনে নেওয়া যাবে না।’’
অন্যদিকে ,হাওড়ার সিনিয়র ডিএসসি অজয়প্রকাশ দুবে বলেন, ”রেল বোর্ডের নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। রেল চত্বরে হকারি বেআইনি। হকারদের ‘অত্যাচার’ নিয়ে ইদানিং রেলের কাছে যাত্রীদের অভিযোগ আসছে। ফলে হকারদের সরানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। পোস্ট ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রেনে হকারি বন্ধ করার জন্য। এই নির্দেশ না মানা হলে বিশেষ বাহিনীকে তখন নামানো হবে।” তিনি জানিয়েছেন, “অ্যান্টি হকিং স্কোয়াডের কর্মীসংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে। যদিও সেই স্কোয়াড এখনও নামানো হয়নি। যদি পোস্ট ইন্সপেক্টররা ব্যর্থ হয়, তবে ওই স্কোয়াড নামানো হবে।”
কিন্তু হকারদের অত্যাচার নিয়ে রেলের অভিযোগ মানতে নারাজ আইএনটিটিইউসি। এ নিয়ে প্রতিবাদের আভাস পাওয়া গেলো হাওড়া শহর আইএনটিটিইউসির সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ মজুমদারের গলায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘রেল যদি না খেতে পাওয়া মানুষগুলোকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে, তাহলে আমরাও ট্রেন অবরোধ করে এর জবাব দেব।’