10/01/2019, মুতাহার কামাল, ইসলামপুর: তীব্র শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে মহকুমা শাসক হাত দিয়ে শুরু হল এক অন্য ধারার কম্বল বিতরণ পর্ব। প্রকৃত অর্থেই যে সমস্ত দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ গুলো যখন শীতের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে জবুথবু হয়ে কাঁপছিল তখন সান্তাক্লজ এর ভূমিকায় দেখা গেল ইসলামপুরের প্রশাসনিক
আধিকারিকদের। তারা গাড়িতে কম্বল বোঝাই করে বুধবার রাতে বেরিয়ে পড়লেন মহাকুমা সদরের বিভিন্ন জায়গায়। পৌছলেন রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে কিংবা টার্মিনাস এর আশেপাশের এলাকায় কিংবা ফুটপাতে বা অন্য কোথাও। ওই দুঃস্থ এবং অসহায় মানুষগুলোর শরীরে ছড়িয়ে দিলেন নতুন কম্বল ।শুধুমাত্র একটু উষ্ণতার জন্য তীব্র শীতে যারা খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন তাদেরকে এভাবেই কম্বল তুলে দিয়ে যেন তৃপ্তির হাসি হাসলেন মহকুমাশাসকের দপ্তরের আধিকারিরা ।অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা হয়তো অনেকে জানতেই পারলেন না তাদের শরীরে কেউ এসে আলগোছে নতুন কম্বল ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। আসলে প্রকৃত অর্থে যারা দুঃস্থ এবং অসহায় সেসব ভবঘুরে কিংবা ভিক্ষাজীবি মানুষদের এভাবেই চিহ্নিত করে কম্বল দেওয়া হলো। এক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছে গেল এই প্রয়োজনের কম্বল। শীতের নিঝুম রাতে অন্যান্য বেশ কয়েকজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে মহকুমা শাসক বেরিয়ে পড়লেন এমনই এক ভাবনাকে সঙ্গী করে ।মহকুমা শাসক মণীশ মিশ্র জানান, বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার খুব সকালে তারা এরকম একটা স্পেশাল ড্রাইভ এ বেড়িয়ে ছিলেন। সেখানে শুধু কম্বল নয় ছিলো প্রয়োজনীয় পোশাকও। শাড়ি কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পোশাক তারা সরবরাহ করেছেন ওই অসহায় মানুষগুলোকে। এই পর্বটি শুধুমাত্র একদিন বা দুদিনের জন্য নয়। চলবে ধারাবাহিকভাবে ।এবং প্রকৃত অর্থেই যাদের পাওয়ার কথা তাদের হাতেই পৌঁছে দেওয়া হবে এসব।